আমরা প্রতিদিনই একবার হলেও কমবেশি ফেইসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে থাকি। তাই এর নিরাপত্তাজনিত সমস্যাও আমরা কিছু না কিছু ফেস করি প্রতিনিয়ত। মেসেঞ্জারের নিরাপত্তা বলতে এর সাথে সংযুক্ত একাউন্ট এর সুরক্ষাকেই বুঝানো হয়। তাই মেসেন্জারের নিরাপত্তা বলতে এর সাথে সংযুক্ত একাউন্ট এর নিরাপত্তাকেই বুঝবো। নানা কারণে আমাদের ব্যবহৃত মেসেঞ্জার টি বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তাহীনতায় পরে আমাদের একাউন্ট টি হ্যাকিং এর শিকারও হতে পারে। যার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। এছাড়াও আমাদের ব্যাক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসতে পারে। তাই ফেসবুক মেসেঞ্জারে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
১. দুই স্তরের নিরাপত্তা বা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করুন
আপনার একাউন্টএর নিরাপত্তার জন্য এটি প্রথম ধাপ। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করলে শুধু পাসওয়ার্ড দিয়েই একাউন্টে লগিন করা যাবে না। প্রতিবার একাউন্টে লগইন করার সময় একটি অতিরিক্ত ভেরিফিকেশন কোড আপনার ব্যবহৃত কন্টাক্ট নাম্বারে পাঠানো হবে। আবার আপনি চাইলে অথেন্টিকেশন এর বিভিন্ন এপ এর মাধ্যমেও কোড পেতে পারেন। দুই স্তরের নিরাপত্তা বা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করলে আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে।
২. গোপনীয়তা সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনার মেসেঞ্জারের গোপনীয়তা সেটিংস বৃদ্ধি করতে মেসেঞ্জারের প্রাইভেসি সেটিংস (Privacy Settings) মেনুতে গিয়ে মেসেজ ডেলিভারি (Message Delivery) নিয়ন্ত্রণ করুন। এই সেটিংস টি আপনার প্রয়ুজন মতো করে রাখুন যেন অপরিচিত লোকেরা আপনার ইনবক্সে বার্তা পাঠাতে ব্যর্থ হয়। এর পাশাপাশি একটিভ স্ট্যাটাস (Active Status) বন্ধ রাখুন যাতে কেউ আপনার অনলাইনে থাকার স্ট্যাটাস জানতে না পারেন।
৩. সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করবেন না
মেসেঞ্জারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সব ধরণের অপরিচিত লিংক বা মেসেজে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন। এমন অপরিচিত লিংকে ক্লিক করলে ফিশিং এটাক হতে পারে এবং হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে। তাই যেকোন লিংক এ প্রবেশ করার আগে দেখে নিবেন ডোমেইন টি অফিসিয়াল অফিসিয়াল কিনা।
৪. গোপন বার্তা অপশন ব্যবহার করুন
ফেসবুক মেসেঞ্জারের আরেকটি চমৎকার ফিচার হচ্ছে Secret Conversation. এই অপশনটি ব্যবহারকারীর পাঠানো মেসেজ ২৪ ঘন্টায় মুছে ফেলতে পারে। এই অপশনটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে কাজ করে, যা আপনার মেসেজগুলোকে আরও নিরাপদ রাখতে পারে।
৫. লগইন সতর্কতা (Alert) চালু করুন
আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা আরো এক ধাপ বাড়াতে ফেসবুকের সিকিউরিটি এন্ড লগইন (Security and Login) অপশনে গিয়ে লগইন সতর্কতা (Login Alerts) চালু করুন। এতে করে কোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে কেউ লগইন করলে ফেইসবুক আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে। আপনি অনুমতি দিলে তবেই সেটি লগইন হবে অন্যথায় ফেইসবুক এটিকে ডিক্লাইন করে দিবে এবং আপনার একাউন্টটি সুরক্ষিত থাকবে।
হোয়াটস্যাপ সুরক্ষিত রাখার উপায়।
৬. অ্যাপ পারমিশন রিভিউ করুন (App Permission Review)
আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনে কোন থার্ড পার্টি অ্যাপকে আপনার মেসেঞ্জারের সাথে সংযুক্ত করা লাগতে পারে। কিছুদিন পরপরই থার্ড-পার্টি অ্যাপস গুলো রিভিউ করুন এবং অনিরাপদ বা প্রয়োজন নেই এমন কোন অ্যাপস রিমুভ করুন। এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে আপনার মেসেঞ্জার অ্যাকাউন্টটি আরও নিরাপদ থাকবে।